‘ভয় জাগানিয়া’ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক

ঈদযাত্রায় ‘ভয় দেখানো’ ঢাকা-টাঙ্গইল মহাসড়কে নির্ঝঞ্ঝাট যাতায়াত খানিকটা অবাকই করেছে যাত্রীদের।
বরাবর ঈদ যাত্রায় এই মহাসড়ক ধরে চলাচলকারীদেরকে ভুগতে হয়। অবশ্য চার লেনের কাজ এগিয়ে চলার পর গত দুই বছর ধরে ভোগান্তি কিছুটা কম। এবার আরও কম।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও ঈদে ঘরমুখো মানুষের মহাসড়কে আটকা থাকার দুর্ভোগ পোহানোর সেই চিত্র দেখা যায়নি।

মহাসড়কের চন্দ্রামোড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চার লেনের সড়ক খুলে দেয়ায় যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে।
এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গসহ ২৬টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। মহাসড়কটি দুই লেন থাকার সময় নিত্য দিন যানজটে ভুগতে হতো। গত কয়েক মাস ধরে চার লেনের কাজ চলায় নিত্যদিন যানজটের খবর এসেছে গণমাধ্যমে। এ কারণে ঈদে যাত্রী চাপ বাড়লে কী হয়, তা নিয়ে ছিল সংশয়।

তবে প্রায় তিন বছর আগে শুরু হওয়া চার লেনের কাজ ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়কটি খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন। আর বুধবার থেকে যানবাহনগুলো চারটি লেনই ব্যবহার করতে পারছে।
ঢাকার বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রহিমা জানান, বৃহস্পতিবার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে মির্জাপুর পর্য়ন্ত আসতে তার দুই ঘন্টা সময় লেগেছে।

গাজীপুরের জামগড়া এলাকার পোষাক কারখানার শ্রমিক মুনছুর রহমান জানান, তিনি জামগড়া থেকে মির্জাপুর পর্য়ন্ত যানজটমুক্ত মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ধলেশ্বরী বাসের চালক, আব্দুল মিয়া জানান, চারলেন খুলে দেয়ায় মহাসড়কের কোথাও তাকে যানজটে আটকা পড়ে থাকতে হয়নি।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক জানান, মহাসড়কের চন্দ্রামোড় থেকে এলেঙ্গ পর্য়ন্ত বিভিন্ন পর্য়ায়ের সাড়ে সাতশ পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন।

টাঙ্গাইলের টার্ফিক সার্জেন্ট মোহন তালুকদার জানিয়েছেন মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে অনুমোদনহীন যানবাহন যাতে মহাসড়কে উঠতে না পারে তার জন্য লিং রোডগুলোতে বাঁশকল লাগানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলের টার্ফিক ইনসপেক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ২৪ ঘন্টা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন । বৃহস্পতিবার সন্ধা পর‌্যন্ত চন্দ্রামোড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত কোথাও যানজটের খবর তার কাছে আসেনি।

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে হাইওয়ে থানার ওসি এ কে এম কাউসার ঢাকাটাইমসকে বলেন, মহাসড়কে কোথাও যানজট নেই। তবে চন্দ্রামোড়ে অনেক যাত্রী যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।